• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
নারী-শিশু মামলায় বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে জনগণ: নয় বছরে ৫০৭ জনকে পিটিয়ে হত্যা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বস্তিবাসী-রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ৬ষ্ঠ উপজেলায় নির্বাচন জয় হয়েছে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ শুল্ক জটিলতায় বন্দরে আটকা ২০ অ্যাম্বুলেন্স, ক্ষুব্ধ আমদানিকারকরা চত্রনায়ক সোহেল হত্যায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন হজযাত্রীদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে: ধর্মমন্ত্রী এরশাদের ট্রাস্টের গাড়ি আত্মসাৎ, ফেরত পেতে আদালতের দ্বারস্থ বিদিশা

মাকে আটকে রাখার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ছেলেকে তলব হাইকোর্টের

Reporter Name / ৪২৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চার সন্তানের জননী আছিয়া আক্তার। তিনি বড় ছেলের কাছে থাকছেন। তবে অন্য সন্তানদের দাবি, তাদের মাকে বড় ছেলে আটকে রেখেছেন এবং অন্য ছেলেমেয়েদের মায়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মা আছিয়া আক্তারকে কেন আটকে রাখা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বড় ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনকে হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বড় ছেলেকে আদালতে উপস্থিত হয়ে মাকে আটকে রাখার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মাকে আটকে রাখার ঘটনায় প্রতিকার ও দেখার জন্য অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে এক ভাই ও দুই বোনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম। আদালতে এদিন ছোট ভাই রাফসান মোর্শেদ ও পারভীন আক্তারসহ দুই বোনের করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম। শুনানিতে তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার গালিব আমিদ। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী। ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম বলেন, মিরপুরে এক বৃদ্ধ মাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে তার তিন ছেলেমেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন। পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি নিয়ে মাকে এককভাবে আটকে রাখা এবং অন্যান্য ছেলেমেয়েদের দেখা করার সুযোগ না দেওয়া ও কেন মা আছিয়া আক্তারকে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে- তা জানতে চেয়ে আটককারী ছেলে ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় মাকে সঙ্গে নিয়ে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। মিরপুর আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ আছিয়া আক্তারের চার সন্তান। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। ২০১১ সালের ২৭ মে ছোট ছেলে রাফসান মোর্শেদের বাসা থেকে তার বড় ছেলে মাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান এবং তাকে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গৃহবন্দি করে রাখেন। তিন ভাই-বোনকে তাদের মায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে দেয়নি। মায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলে তাদের গেট থেকে বের করে দেওয়া হয়। তখন তারা নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং পুলিশের সহায়তায় গত দুই বছর আগে শুধু দুবার দেখা করেন। এরপর থেকে আর রিট আবেদনকারী ভাই-বোনদের মাকে দেখতে দেননি। রিট আবেদনকারীরা জানতে পেরেছেন যে, তার মা অত্যন্ত অসুস্থ এবং তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তারা বিষয়টি পুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা হাইকোর্টে রিট করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category