ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

সরকার আদালতের কোনো মামলায় হস্তক্ষেপ করে না: আইনমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:১৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, সরকার আদালতের কোনো মামলার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে যে কথা শুনেছি, হাইকোর্ট থেকে যে জামিন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। যে কারণে তিনি আপিল বিভাগে গেছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী কসবায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালে ট্রেনে আখাউড়ায় আসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের খারাপ আচরণের কথা শুনেছেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জানি। এখন কথা হচ্ছে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের বিচারক এবং অন্যান্য বিচারক অভিযোগ করেছেন, ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খুব খারাপ ছিল, সেটা আমি শুনেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কনডেমট রুল জারি করেছেন। এটা এখন বিচারকদের ব্যাপার। আদালত বিচার করবেন। অশোভন আচরণের ঘটনা তুলে ধরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নিতে গত ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। পরে এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানো হলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে তিনি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। এ ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ওই তিন আইনজীবী হলেন- সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম। এদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পরিষদ মিলনায়তনে কসবা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান এবং সংবিধানে যে সময় লেখা আছে সে সময় অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা লেখা নেই, তা হবে না। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো প্রবিশন নেই। কেয়ারটেকার অবৈধ। তাই এর কোনো প্রশ্নই উঠে না। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। এ সময় আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী এবং বিচারকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটা হাইকোর্ট তার এখতিয়ারে নিয়েছে। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে ঘটনা এমন হয়ে থাকলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং লজ্জিত। আমি ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখেছি, সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি মর্মাহত। আমি আইনজীবী পরিবারের সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী পরিবারের সব আইনজীবীরা এমন ঘটনা করতে পারে আমি বিশ্বাস করি না। করে থাকলে ২-৩ জন আইনজীবী করতে পারে। আইনজীবীরা সবার আগে আইন মেনে চলে। কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আরজু।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার আদালতের কোনো মামলায় হস্তক্ষেপ করে না: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৫:১৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, সরকার আদালতের কোনো মামলার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে যে কথা শুনেছি, হাইকোর্ট থেকে যে জামিন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। যে কারণে তিনি আপিল বিভাগে গেছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী কসবায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালে ট্রেনে আখাউড়ায় আসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের খারাপ আচরণের কথা শুনেছেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জানি। এখন কথা হচ্ছে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের বিচারক এবং অন্যান্য বিচারক অভিযোগ করেছেন, ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খুব খারাপ ছিল, সেটা আমি শুনেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কনডেমট রুল জারি করেছেন। এটা এখন বিচারকদের ব্যাপার। আদালত বিচার করবেন। অশোভন আচরণের ঘটনা তুলে ধরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নিতে গত ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। পরে এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানো হলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে তিনি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। এ ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ওই তিন আইনজীবী হলেন- সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম। এদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পরিষদ মিলনায়তনে কসবা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান এবং সংবিধানে যে সময় লেখা আছে সে সময় অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা লেখা নেই, তা হবে না। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো প্রবিশন নেই। কেয়ারটেকার অবৈধ। তাই এর কোনো প্রশ্নই উঠে না। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। এ সময় আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী এবং বিচারকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটা হাইকোর্ট তার এখতিয়ারে নিয়েছে। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে ঘটনা এমন হয়ে থাকলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং লজ্জিত। আমি ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখেছি, সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি মর্মাহত। আমি আইনজীবী পরিবারের সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী পরিবারের সব আইনজীবীরা এমন ঘটনা করতে পারে আমি বিশ্বাস করি না। করে থাকলে ২-৩ জন আইনজীবী করতে পারে। আইনজীবীরা সবার আগে আইন মেনে চলে। কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আরজু।