• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
এক সপ্তাহের মধ্যে হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: জামায়াত আমির বিশেষ ওএমএস’র মেয়াদ বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা নানামুখী অভিযানেও বন্ধ করা যাচ্ছে না নৌপথে মানব পাচার ভ্যাট মামলা ও বকেয়ায় আটক হাজার হাজার কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ ক্ষুদ্রঋণ চালু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় আর্জেন্টিনা বৈষম্যহীন দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান ইসির চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইউএনডিপি সাকিব আল হাসানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা রক্ত ঝরবে কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অপচয়-দুর্নীতি ছাপিয়ে উন্নয়নের সূর্যোদয় হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

Reporter Name / ৩৬০ Time View
Update : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রতি মঙ্গলবার আমরা একনেক সভায় বসি। সভায় অনেকগুলো গেম চেঞ্জিং প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক অপচয় হচ্ছে, দুর্নীতিও হচ্ছে, এটা বলে লাভ নেই। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের একটা সূর্যোদয় হয়েছে, একটা মহা উন্নয়ন দেখা দিচ্ছে। রোববার নগরীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম কানফারেন্স হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৫ বছর ধরে দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। দেশের মানুষের সুখ-শান্তি দেখা তার শান্তি। সময় এখন আমাদের। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করছি। সঠিক সময়ে আল্লাহ আমাদের বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমাদের শেষ করে গেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হবে। সব থেকে অপরাধবোধ তাকে আমরা হত্যা করেছি, এই অপরাধ বোধ সবসময় বয়ে বেড়াতে হবে। দেশে সম্পদ বেড়েছে। কোন দল করি এটা বড় বিষয় না, দেশ তো একটাই। দেশের উন্নয়নে আমাদের একটা ইউনিটি দরকার। এই দেশের মাটির স্বাধীনতায় ও জাতির পরিচয়ে আওয়ামী লীগ জড়িত। দলের একজন হতে পেরে আমি গর্বিত। ঢাকায় চাপ বাড়ছে দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সবকিছু আমাদের ঢাকায়, ঢাকায় অসহনীয় পরিবেশ। সবাই ঢাকায় আসতে চান। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের টিচার, তিনিও ঢাকার ডিজি অফিসে আসতে চান। বদলি, প্রমোশন, বেতন বাড়ানো নানা কাজে ঢাকায় আসতে হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, ডিজি ভূমি, অনেক কিছুই ঢাকায়। ক্ষমতার কেন্দ্রেীভূত করে আমরা ঢাকায় বসে আছি। মন্ত্রীরা, সচিবরা, ডিজিরা এমন অন্যান্য শ্রেণীর যারা আমরা কাজ করি সবাই ঢাকায়। এটার ভালো-মন্দ বলার ক্ষমতা আমার নেই বলাও উচিত না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই ইনোভেটিভ পারসন, তিনি এটা ভাঙতে চান। তবে কারোর একার পক্ষে এটা সম্ভব না। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাইমারি স্কুল দেখি। এগুলোও উন্নত হচ্ছে। আমাদের মা-চাচিরা এই সুযোগ-সুবিধা পাননি। তবে এখন গ্রামের মায়েরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন করতে কাজ করছি। সেজন্য প্রয়োজনীয় কাজ করছি। গ্রামে গ্রামে স্কুল তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে, মায়ের নামে বাবার নামে স্কুল করার জন্য আমার কাছে আসে। সবাই বলে এমপি সাব স্কুল করতে চান। এতে বোঝা যায় এটা ব্যবসায়ীক দিক নয়। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। কিন্তু আজীবন এটাকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। হাইস্কুল, কলেজ, সেকেন্ডারি স্কুলগুলা বেতনভাতা দিয়ে চলে। কয়েক হাজার পেন্ডিংও আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। আমারও কিছু আবেদন আছে। গ্রামীণ উন্নয়নেও সবকিছুই হচ্ছে। সরকার গ্রামের উন্নয়নে নজর দিচ্ছে। গ্রামকে শহরে রূপ দিপে নানা পরিকল্পনা চলমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্ম সাইফ উদ্দিন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category