০৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: ডিএমপি কমিশনার

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গত শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় এসব সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জামায়াতের মিছিল থেকে হামলা করা হয় বলে দাবি পুলিশের। এ হামলার ঘটনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামি পুলিশের কাছ থেকে গণমিছিলের অনুমতি নেয়নি। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিনা অনুমোদনে একটা মিছিল বের করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করা হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এভাবে বেআইনি কাজ করা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। গত শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি ছিল না বিষয়টি এরকম নয়। আমারা কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। তারা (জামায়াতের নেতাকর্মীরা) বিভিন্নভাবে ছড়িয়েছে, তারা বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মিছিল করবে। কিন্তু তারা মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের সামনে থেকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে মৌচাক-মালিবাগে এসে মিছিল করে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে জঙ্গি হামলার হুমকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সম্প্রতি দুইজন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অভিযান চলছে, অন্য জঙ্গি সদস্যও ধরা পড়ছে। তবে থর্টি ফার্স্ট নাইটে নির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
এদিকে জামায়াতের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা অতীত ইতিহাস থেকে দেখেছি বগুড়ায় চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে বলে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, গাইবান্ধায় দেখেছি ফাঁড়িতে আগুন দিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে। তারা (জামায়াত ইসলাম) অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও তারা গতকালের ঘটনায় অতীত ইতিহাসের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কঠোর হাতে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জামায়াতের অতীত ইতিহাস ফিরে আসুক এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জামায়াতের মিছিল বের হওয়ার তথ্য ছিল কি না-জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের পুলিশ প্রস্তুত ছিল। তারা প্রথমে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করার তথ্য প্রচার করেছে, সেখানে আমাদের পুলিশ ছিল। তারা মিছিল বের করার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়। এরপর তারা মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় মিছিল বের করে। যেহেতু আপনারা জানেন ওই এলাকা তিন থানার মোড়, ফলে প্রত্যেক থানা নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এ সুযোগে বিচ্ছিন্নভাবে একত্র হয়ে মিছিল বের করে। মৌচাকে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ হয়। জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার আছে। কিন্তু নির্দেশদাতা হিসেবে বাইরে থাকা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকেই অভিযান চলছে। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তর দুই শনিবার খোলা

পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গত শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় এসব সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জামায়াতের মিছিল থেকে হামলা করা হয় বলে দাবি পুলিশের। এ হামলার ঘটনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামি পুলিশের কাছ থেকে গণমিছিলের অনুমতি নেয়নি। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিনা অনুমোদনে একটা মিছিল বের করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করা হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এভাবে বেআইনি কাজ করা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। গত শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি ছিল না বিষয়টি এরকম নয়। আমারা কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। তারা (জামায়াতের নেতাকর্মীরা) বিভিন্নভাবে ছড়িয়েছে, তারা বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মিছিল করবে। কিন্তু তারা মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের সামনে থেকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে মৌচাক-মালিবাগে এসে মিছিল করে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে জঙ্গি হামলার হুমকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সম্প্রতি দুইজন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অভিযান চলছে, অন্য জঙ্গি সদস্যও ধরা পড়ছে। তবে থর্টি ফার্স্ট নাইটে নির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
এদিকে জামায়াতের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা অতীত ইতিহাস থেকে দেখেছি বগুড়ায় চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে বলে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, গাইবান্ধায় দেখেছি ফাঁড়িতে আগুন দিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে। তারা (জামায়াত ইসলাম) অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও তারা গতকালের ঘটনায় অতীত ইতিহাসের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কঠোর হাতে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জামায়াতের অতীত ইতিহাস ফিরে আসুক এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জামায়াতের মিছিল বের হওয়ার তথ্য ছিল কি না-জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের পুলিশ প্রস্তুত ছিল। তারা প্রথমে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করার তথ্য প্রচার করেছে, সেখানে আমাদের পুলিশ ছিল। তারা মিছিল বের করার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়। এরপর তারা মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় মিছিল বের করে। যেহেতু আপনারা জানেন ওই এলাকা তিন থানার মোড়, ফলে প্রত্যেক থানা নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এ সুযোগে বিচ্ছিন্নভাবে একত্র হয়ে মিছিল বের করে। মৌচাকে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ হয়। জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার আছে। কিন্তু নির্দেশদাতা হিসেবে বাইরে থাকা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকেই অভিযান চলছে। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।