ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

লোকসানে চলা বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমনভাবে আমদানি-রফতানি হয় না, কিন্তু বন্দর বানিয়ে রাখা হয়েছে- লোকসানে চলছে সেসব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে আটটি বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। ইতিমধ্যে চারটি বন্ধ করতে পেরেছি। বাকি ২০টি বন্দর রয়েছে এর মধ্যে কার্যকর ১২ থেকে ১৪টির বেশি নেই। এসব বন্দরকে আধুনিকায়ন করে কী হবে- এক পয়সা যেখানে আয় নেই। সারা বছর যেখানে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ খরচ হচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি। যেগুলো কার্যকর ও বড় বন্দর সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ছাড়া আরও কিছু নদীবন্দর রয়েছে এগুলোকেও আমরা এভাবে বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। হিলি স্থলবন্দরের কিছু অব্যবস্থাপনার কথা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনলাম সেসব বিষয়ে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখার জন্য জানিয়েছি। এর আগে তিনি বন্দরের সভা কক্ষে কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরের যেসব অনিয়ম ও পণ্য আমদানিতে জটিলতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন ও এর সমাধান চান উপদেষ্টার কাছে। পরে তিনি বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার, হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লোকসানে চলা বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমনভাবে আমদানি-রফতানি হয় না, কিন্তু বন্দর বানিয়ে রাখা হয়েছে- লোকসানে চলছে সেসব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে আটটি বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। ইতিমধ্যে চারটি বন্ধ করতে পেরেছি। বাকি ২০টি বন্দর রয়েছে এর মধ্যে কার্যকর ১২ থেকে ১৪টির বেশি নেই। এসব বন্দরকে আধুনিকায়ন করে কী হবে- এক পয়সা যেখানে আয় নেই। সারা বছর যেখানে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ খরচ হচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি। যেগুলো কার্যকর ও বড় বন্দর সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ছাড়া আরও কিছু নদীবন্দর রয়েছে এগুলোকেও আমরা এভাবে বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। হিলি স্থলবন্দরের কিছু অব্যবস্থাপনার কথা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনলাম সেসব বিষয়ে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখার জন্য জানিয়েছি। এর আগে তিনি বন্দরের সভা কক্ষে কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরের যেসব অনিয়ম ও পণ্য আমদানিতে জটিলতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন ও এর সমাধান চান উপদেষ্টার কাছে। পরে তিনি বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার, হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।