নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ত্যাগ, প্রেরণা ও অন্তহীন সমর্থনে দেশরতœ শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংকটে-সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম মুজিব যেমন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা, প্রেরণা ও শক্তির উৎস ছিলেন, ঠিক তেমনি শেখ রেহানাও পর্দার অন্তরাল থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনাকে। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও শেখ হাসিনার জীবনে সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার নিজের সরকারি বাস ভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এক কঠিন এবং সংগ্রামী জীবনযাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও বড় বোন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন নির্মোহ এবং জনহিতৈষী এ ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন, সাদমাটা জীবনযাপনে অভ্যস্থ শেখ রেহানা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকুরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন তিনি। তার সন্তানেরা আজ আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গঠন করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রতœাগর্ভা মা শেখ রেহানার বড় ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন এবং কনিষ্ঠ কন্যা আজমিকা সিদ্দিক রুপন্তি লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, প্রচারবিমুখ শেখ রেহানা কখনো লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ, জাঁতি ও গণতন্ত্রের জন্য তিনি নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অদম্য স্বপ্ন, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ এ শুভক্ষণে আবারও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার প্রতি অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। তিনি শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
ভারত কথা দিয়েছে, সীমান্তে আর হত্যাকা- ঘটবে না: ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে, সীমান্তে আর হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটবে না। ভারত সরকার এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে আশা করি। বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতার ফেনা তুললেও ভারতের সঙ্গে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল, যা তাদের সময়ে দেশবাসী দেখেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহু বছরের পুরোনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়। বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধানতো করতে পারেইনি বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে? তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। সীমান্তে হত্যাকা-ের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকা- ঘটবে না। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলায়, তারা কখনো সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না। আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ।