পুরাতন জঙ্গিরা নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংঘবদ্ধ হচ্ছে: র্যাব

- আপডেট সময়ঃ ০৭:২০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অতীতে যারা জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহে এখনো তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ১৭ আগস্ট দেশ জুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গিরা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাবের মূল ম্যান্ডেট হলো জঙ্গি আটক করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ মোট নয়টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, পরে হরকাতুল জিহাদ তৎপর ছিল।
এ সংগঠনগুলোর তৎপরতা কিছুটা কম ছিল। গতবছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে আটক করে র্যাব। আমরা যে তথ্য পেয়েছিলাম, জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল। এ পুরাতন সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছে, তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার আল ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যুক্ত হয়েছিল।
এ সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিলো। এ সংগঠনের আমিরসহ নেতৃত্বপর্যায়ে অনেককে আটক করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আগে জঙ্গিবাদে যারা জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে।
পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের আটক করতে র্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে। তবে তারা দেশে হামলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে কিনা সেটি নিয়ে র্যাবের গোয়েন্দারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বলেও জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অপতৎপরতা প্রসঙ্গে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কেউ জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমরা আইন অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ঘিরে জামায়াতে ইসলামীর অপতৎপরতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশে যদি কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বা কেউ আইন ভঙ্গ করলে। কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করলে বা জানমালের ক্ষতি করলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো।