‘১৪-১৮’র নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপে দায়িত্ব বেড়েছে: সিইসি

- আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ১২৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান ইসির ওপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপ পড়েছে। তাই কমিশনের দায়িত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর আগে গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি’র সঙ্গে বৈঠকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তর্ক-বিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিইসি। আজ রোববার সকালে ইসির প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। এ সময় সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করার আহ্বান জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল। বক্তব্য দেওয়ার আগে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি। ইসিকে কেন্দ্র করে আস্থার সংকট চলছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এটা (আস্থার সংকট দূরীভূতকরণ) আপনার কাজের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে হবে। এ সময় ইউএনওদের প্রতি জোরালোভাবে কাজী হাবিব আহ্বান করেন, ‘আপনারা শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা কিন্তু আপনাদের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবো। এটা কিন্তু প্রজাতন্ত্র, ভোটারদের ভোটে সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। আর দ্বাদশ নির্বাচনে বেশি অভিযোগ ইসির ওপর পড়েছে। তাই নির্বাচন স্বচ্ছতা হতে হবে। জবাবদিহিতা থাকতে হবে। মোট কথা একটা ফ্রি ফেয়ার হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ করা হচ্ছে, এই ইসির অধীনে (নির্বাচন) সুষ্ঠু করতে পারবে না। তাই আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করে তার জবাব দেবো। তবে মিডিয়া কিংবা সামাজিকভাবে অপপ্রচার না হয় সেটা কঠোরভাবে দেখবো। তাই নির্বাচনী দায়িত্ব কঠোরভাবে পালন করবেন। নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ হতে হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, যেন নির্বাচনটা সুন্দর ও স্বচ্ছ হয়। পোলিং এজেন্টদের শক্তিশালী হতে হবে। তাদের অনেক সময় বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এটা রোধ করতে পারলে নির্বাচন অনেকটা ভালো হবে।’
অপপ্রচার হলে কঠোর ব্যবস্থা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিডিয়ায় অপপ্রচার করলে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি বলেন, এখন মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার হয়। যেটাকে মিসইনফরমেশন, ডিজইনফরমেশন বলে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বানিয়ে প্রচার করা হতে পারে। সেগুলো আমরা কঠোভাবে প্রতিরোধ করবো। যেন নির্বাচনে ঋণাত্মকভাবে প্রভাব না পড়ে। তিনি বলেন, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। অনেকে আবার এজেন্ট না দিয়েও অভিযোগ করেন। কাজেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি দল থেকে এজেন্ট দিয়েছেন কিনা। এজেন্ট শক্তিশালী হলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। দুই দিনের আবাসিক এ কর্মশালায় অংশ নেন ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা।