ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বিএনপির মহাসমাবেশে সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে না, পিটার হাসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশকে ঘিরে সরকার ঢাকায় প্রবেশের সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না -তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ বিষয়টি জানতে চান। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি জানতে চেয়েছেন বিএনপি যে একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে, তোমরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, কিংবা তোমরা অন্য কিছু করবা কি না। তিনি বলেন, ?আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই। তারপরও আমরা অনুরোধ করবো ঢাকা শহর এমনিতেই একটি যানজটপূর্ণ শহর। এখানে দুই কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে, এমনি কি ঢাকার রাস্তাঘাট মানুষে পূর্ণ থাকে। সেখানে যদি ১০ লাখ মানুষ বা এর চেয়ে বেশি লোক ঢোকে তারা যেটা বলেছেন, তাহলে তো একটা মিসম্যাচ হয়ে যাবে, কমিউনিকেশন, এটা সেটা। সেগুলো যাতে তারা না করেন, সেটার জন্য আমরা রিকোয়েস্ট করব। মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানতে চেয়েছিলেন যে আসা-যাওয়া তোমরা বন্ধ করবে কি না। আমি বলেছি আসা-যাওয়া বন্ধ আমরা কেন করব? ঢাকায় আসা তো সবারই প্রয়োজন, একটা রোগীর ঢাকা আসা প্রয়োজন, বিদেশে যেতে হলে ঢাকায় আসা প্রয়োজন- সবকিছু তো ঢাকাকেন্দ্রিক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার কোন প্রশ্নই আসে না। তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) আসবে তারা যাবে, সেখানে আমরা কোন বাধা দেবো না কিংবা আমরা সেটার কোন চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকুই বলব, তারা যাতে কোন ভায়োলেন্স লিপ্ত না হয়, চলাচলের জায়গাটি তারা যাতে সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, সেটা আমরা তাকে জানিয়েও দিয়েছি। একটি দেশের রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে এসেছেন। এটি কূটনীতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্নটি তো আমি আপনার কাছে করতে চাই। আমার কথা হল, তিনি আসছেন তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রদূত তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না- সেটা দেখা আমার বিষয় নয়। সেটার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। আপনার (সাংবাদিক) কাছে আমারও প্রশ্ন। এ সমস্ত ব্যাপারে বোধ হয় কিছুটা সংযমী হওয়া উচিত। রাজনৈতিক শিষ্টাচার এর মধ্যে পড়ে কি না- সেই বিষয়ে আপনি আমাদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন। কিন্তু আপনার কাছে জানতে চাইলেও আপনি তো তথ্য দিয়ে দিলেন। তথ্য দেওয়াটা বাধ্যতামূলক ছিল কি না- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তথ্য যতটুকু দেওয়ার আমরা ততটুকুই দিয়েছি। একটা রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছে, জিজ্ঞাসা আমাকে করতেই পারে। কি ব্যবস্থা নিয়েছো, কোন ভায়োলেন্স হবে কি না? সেই জায়গায় আমরা সেইটুকুই মেনটেইন করেছি। যতখানি প্রয়োজন ততটুকুই আমরা (তথ্য) দিয়েছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূর্গাপূজা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছেন- পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হবে কি না, সবকিছু আমরা দেখাশোনা করছি কি না। আমরা তাদের জানিয়েছি প্রতিবছরই বাংলাদেশের পূজাম-পের সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের পূজাম-পের সংখ্যার সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে আমাদের দেশে পূজাম-পের সংখ্যা বেশি। তাদের জানিয়েছে প্রতিটি পূজাম-পে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ভায়োলেন্স পছন্দ করে না। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, এই পূজাতে কিছু হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তারপরও যথেষ্ট সতর্ক অবস্থায় সবাই আছেন। পূজা উদযাপনের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। শুধু ২৮ অক্টোবরের বিএনপির কর্মসূচি নয় রোহিঙ্গাসহ আরো অন্যান্য বিষয়ে ও আলোচনা করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন- ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আমাদের রাজনীতিক নেতারা এগুলো বলবেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কেউ বলবে আমরা দখল রাখবো, কেউ বলবে তারা দখলে রাখবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কথা হল, যে যে কর্মসূচি দিক, যে যে প্রোগ্রামে দিক, রাস্তাঘাট বন্ধ না করে যেন চলাচলের বিঘœ না ঘটিয়ে তা করেন, সে বিষয়ে আমি অনুরোধ রাখবো। আমরা ঢাকা শহরকে অচল হতে দেব না। বিএনপির মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে না, প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি ডিএমপি কমিশনার করেন। তার কাছে কে গিয়েছে এবং তিনি কি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমি জানি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের নিতে চান, এসবি ক্লিয়ারেন্সটা একটু দেরি হয়, সেই বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা তাদের নিশ্চিত করেছি, রোহিঙ্গা আমাদের হেডেক, তাদের যদি অন্য কোন দেশে নিয়ে যায়, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সেই ব্যবস্থা করব। অর্থের বিনিময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি। এছাড়াও দূর্গাপূজার পর ২৮ অক্টোবর যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্তভাবে পালিত হবে বলে আশা করছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির মহাসমাবেশে সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে না, পিটার হাসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ১০:২০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশকে ঘিরে সরকার ঢাকায় প্রবেশের সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না -তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ বিষয়টি জানতে চান। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি জানতে চেয়েছেন বিএনপি যে একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে, তোমরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, কিংবা তোমরা অন্য কিছু করবা কি না। তিনি বলেন, ?আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই। তারপরও আমরা অনুরোধ করবো ঢাকা শহর এমনিতেই একটি যানজটপূর্ণ শহর। এখানে দুই কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে, এমনি কি ঢাকার রাস্তাঘাট মানুষে পূর্ণ থাকে। সেখানে যদি ১০ লাখ মানুষ বা এর চেয়ে বেশি লোক ঢোকে তারা যেটা বলেছেন, তাহলে তো একটা মিসম্যাচ হয়ে যাবে, কমিউনিকেশন, এটা সেটা। সেগুলো যাতে তারা না করেন, সেটার জন্য আমরা রিকোয়েস্ট করব। মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানতে চেয়েছিলেন যে আসা-যাওয়া তোমরা বন্ধ করবে কি না। আমি বলেছি আসা-যাওয়া বন্ধ আমরা কেন করব? ঢাকায় আসা তো সবারই প্রয়োজন, একটা রোগীর ঢাকা আসা প্রয়োজন, বিদেশে যেতে হলে ঢাকায় আসা প্রয়োজন- সবকিছু তো ঢাকাকেন্দ্রিক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার কোন প্রশ্নই আসে না। তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) আসবে তারা যাবে, সেখানে আমরা কোন বাধা দেবো না কিংবা আমরা সেটার কোন চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকুই বলব, তারা যাতে কোন ভায়োলেন্স লিপ্ত না হয়, চলাচলের জায়গাটি তারা যাতে সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, সেটা আমরা তাকে জানিয়েও দিয়েছি। একটি দেশের রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে এসেছেন। এটি কূটনীতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্নটি তো আমি আপনার কাছে করতে চাই। আমার কথা হল, তিনি আসছেন তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রদূত তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না- সেটা দেখা আমার বিষয় নয়। সেটার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। আপনার (সাংবাদিক) কাছে আমারও প্রশ্ন। এ সমস্ত ব্যাপারে বোধ হয় কিছুটা সংযমী হওয়া উচিত। রাজনৈতিক শিষ্টাচার এর মধ্যে পড়ে কি না- সেই বিষয়ে আপনি আমাদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন। কিন্তু আপনার কাছে জানতে চাইলেও আপনি তো তথ্য দিয়ে দিলেন। তথ্য দেওয়াটা বাধ্যতামূলক ছিল কি না- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তথ্য যতটুকু দেওয়ার আমরা ততটুকুই দিয়েছি। একটা রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছে, জিজ্ঞাসা আমাকে করতেই পারে। কি ব্যবস্থা নিয়েছো, কোন ভায়োলেন্স হবে কি না? সেই জায়গায় আমরা সেইটুকুই মেনটেইন করেছি। যতখানি প্রয়োজন ততটুকুই আমরা (তথ্য) দিয়েছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূর্গাপূজা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছেন- পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হবে কি না, সবকিছু আমরা দেখাশোনা করছি কি না। আমরা তাদের জানিয়েছি প্রতিবছরই বাংলাদেশের পূজাম-পের সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের পূজাম-পের সংখ্যার সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে আমাদের দেশে পূজাম-পের সংখ্যা বেশি। তাদের জানিয়েছে প্রতিটি পূজাম-পে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ভায়োলেন্স পছন্দ করে না। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, এই পূজাতে কিছু হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তারপরও যথেষ্ট সতর্ক অবস্থায় সবাই আছেন। পূজা উদযাপনের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। শুধু ২৮ অক্টোবরের বিএনপির কর্মসূচি নয় রোহিঙ্গাসহ আরো অন্যান্য বিষয়ে ও আলোচনা করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন- ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আমাদের রাজনীতিক নেতারা এগুলো বলবেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কেউ বলবে আমরা দখল রাখবো, কেউ বলবে তারা দখলে রাখবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কথা হল, যে যে কর্মসূচি দিক, যে যে প্রোগ্রামে দিক, রাস্তাঘাট বন্ধ না করে যেন চলাচলের বিঘœ না ঘটিয়ে তা করেন, সে বিষয়ে আমি অনুরোধ রাখবো। আমরা ঢাকা শহরকে অচল হতে দেব না। বিএনপির মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে না, প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি ডিএমপি কমিশনার করেন। তার কাছে কে গিয়েছে এবং তিনি কি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমি জানি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের নিতে চান, এসবি ক্লিয়ারেন্সটা একটু দেরি হয়, সেই বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা তাদের নিশ্চিত করেছি, রোহিঙ্গা আমাদের হেডেক, তাদের যদি অন্য কোন দেশে নিয়ে যায়, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সেই ব্যবস্থা করব। অর্থের বিনিময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি। এছাড়াও দূর্গাপূজার পর ২৮ অক্টোবর যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্তভাবে পালিত হবে বলে আশা করছি।