ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে স্মার্ট পার্কিং হবে: মেয়র আতিক

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি জনগণকে অনুরোধ করব, নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া ঢাকা শহরে স্মার্ট পারকিং অসম্ভব। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিটা এলাকায় এ স্মার্ট পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট সিটি করপোরেশন গড়ে তুলব এ অঙ্গীকার করছি। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে, জয়যুক্ত করবেন। নৌকায় ভোট দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করবো ইনশাআল্লাহ। মেয়র বলেন, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তার নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের বিরোধী যারা আছে তারা যত পারে চেষ্টা করছে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা কখনো পেছাবো না, আমরা এগিয়ে যাব। আমি আগেও বলেছি নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকার একটাই গিয়ার সেটা হলো ফ্রন্ট গিয়ার। নৌকার যেকোনো ব্যাক গেয়ার নেই তার আরও একটি প্রমাণ হচ্ছে আজকে এ স্মার্ট পার্কিং উদ্বোধন। তিনি বলেন, আজকে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকাবাসী স্মার্ট পার্কিংয়ের যাত্রা শুরু করলো। স্মার্ট পার্কিংয়ে প্রথম দুই ঘণ্টার জন্য আমরা ফ্রি নির্ধারণ করেছি ৫০ টাকা পরবর্তী ঘণ্টার জন্য আরও ৫০ টাকা। অর্থাৎ তিন ঘণ্টার জন্য একজনকে গুনতে হবে ১০০ টাকা। এরপরে প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে ১০০ টাকা করে। যে কেউ এখানে অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করতে পারবে গাড়ি রাখতে পারবে এবং অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবে। ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে যেখানে কোনো ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হবে না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দেবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। কারণ কিছুকিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে ‘আকাশের যত তারা সিটি করপোরেশনে তত ধারা’ এগুলো দেখিয়ে দিবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দেবেন। এরইমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আমরা চালু করে দিয়েছি। কোনো অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে বসে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তাৎক্ষণিক তা সমাধান করে দিচ্ছি। সবার ঢাকায় অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান এরইমধ্যে করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতি মুক্ত এবং জবাবদিহীতার আওতায় আনার জন্য আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম এরইমধ্যে চালু করে ফেলেছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে স্মার্ট পার্কিং হবে: মেয়র আতিক

আপডেট সময়ঃ ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি জনগণকে অনুরোধ করব, নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া ঢাকা শহরে স্মার্ট পারকিং অসম্ভব। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিটা এলাকায় এ স্মার্ট পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট সিটি করপোরেশন গড়ে তুলব এ অঙ্গীকার করছি। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে, জয়যুক্ত করবেন। নৌকায় ভোট দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করবো ইনশাআল্লাহ। মেয়র বলেন, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তার নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের বিরোধী যারা আছে তারা যত পারে চেষ্টা করছে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা কখনো পেছাবো না, আমরা এগিয়ে যাব। আমি আগেও বলেছি নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকার একটাই গিয়ার সেটা হলো ফ্রন্ট গিয়ার। নৌকার যেকোনো ব্যাক গেয়ার নেই তার আরও একটি প্রমাণ হচ্ছে আজকে এ স্মার্ট পার্কিং উদ্বোধন। তিনি বলেন, আজকে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকাবাসী স্মার্ট পার্কিংয়ের যাত্রা শুরু করলো। স্মার্ট পার্কিংয়ে প্রথম দুই ঘণ্টার জন্য আমরা ফ্রি নির্ধারণ করেছি ৫০ টাকা পরবর্তী ঘণ্টার জন্য আরও ৫০ টাকা। অর্থাৎ তিন ঘণ্টার জন্য একজনকে গুনতে হবে ১০০ টাকা। এরপরে প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে ১০০ টাকা করে। যে কেউ এখানে অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করতে পারবে গাড়ি রাখতে পারবে এবং অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবে। ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে যেখানে কোনো ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হবে না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দেবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। কারণ কিছুকিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে ‘আকাশের যত তারা সিটি করপোরেশনে তত ধারা’ এগুলো দেখিয়ে দিবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দেবেন। এরইমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আমরা চালু করে দিয়েছি। কোনো অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে বসে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তাৎক্ষণিক তা সমাধান করে দিচ্ছি। সবার ঢাকায় অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান এরইমধ্যে করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতি মুক্ত এবং জবাবদিহীতার আওতায় আনার জন্য আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম এরইমধ্যে চালু করে ফেলেছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।