• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্ব থাকবে জনস্বাস্থ্যেও: পরিবেশ মন্ত্রী অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় বিকল্পভাবে পণ্য আমদানির চেষ্টা করছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: রাষ্ট্রপতি শান্তি আলোচনায় কেএনএফকে বিশ্বাস করেছিলাম, তারা ষড়যন্ত্র করেছে: সেনাপ্রধান বন কর্মকর্তার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম: ১৪ বছর ধরে সরানোর অপেক্ষা ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে : মেয়র আতিক

আশানুরূপ পর্যটক নেই কক্সবাজার সৈকতে

Reporter Name / ৭৬ Time View
Update : সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসলেও এবার নেই আশানুরূপ পর্যটক। ঈদের পর বেশ কিছু পর্যটকের আগমন হয়। তবে তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার ও জেলার আশপাশের এলাকার লোকজন। হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে গত তিনদিনে অন্তত ২ লাখের বেশি পর্যটক সমাগম হলেও স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা বেশি। গত তিনদিনে যেসব পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন বিশেষ করে সৈকতের পয়েন্টগুলো জমজমাট করে তুলেছেন। অন্য পর্যটন স্পটগুলো ফাঁকা। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা কম। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন প্রচন্ড দাবদাহ আর ঈদের কম ছুটি। তবে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর্যটক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুকিং রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের ভাষ্য মতে, এবারের ঈদে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। হয়তো আরও দুয়েকদিন পর বেশি পর্যটক আসতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুকিং রয়েছে। সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো জানান, যেসব পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন এদের অধিকাংশ স্থানীয়। তীব্র রোদ, তার সঙ্গে উত্তাল সাগর। তাই পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে সৈকতপাড়ের লাইফ গার্ড কর্মীরা। কক্সবাজার কলাতলী-মেরিনড্রাইভ সড়ক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌখিম খান বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে যত পর্যটকের সমাগম হয় এবছর তেমনটি হয়নি। তবে আগামী দুয়েকদিন পর্যটক সংখ্যা বাড়তে পারে।’ কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। ভাড়ায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। হোটেলগুলোয় দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৬০ হাজার। পর্যটক আসতে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় আরও বাড়বে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আজ-কালের মধ্যে পর্যটকে ভরে যাবে কক্সবাজার।’ ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, পর্যটন স্পট, হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতে জোরদার রয়েছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। জেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটে তাদের নজরদারি রয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্র সৈকতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) আবু সুফিয়ান বলেন, জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। অতিরিক্ত ভাড়া, পর্যটক হয়রানি রোধ করতে তারা মাঠে রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণে সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে প্রশাসন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category