০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই হয়ে যান জঙ্গি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করতেন কবীর আহাম্মদ। টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই হয়ে যান জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হাতে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। কবীর আহাম্মদসহ এ সংগঠনের মোট ৩ সদস্য গ্রেপ্তার হয়। গত রোববার বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মো. কবীর আহাম্মদসহ (৫০) গ্রেপ্তাররা হলেন মো. ইয়াসিন (৪০) ও আবদুর রহমান ইমরান (২৬)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি, ২ লিটার অ্যাসিড, গান পাউডার, লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচবক্স, একটি কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ২ বোতল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, ২টি স্প্রে ক্যান, ১টি লোহার করাত, স্কচ টেপ ও সুপার গ্লু, ট্রেনিংয়ের পোষাক ও টুপি এবং হ্যান্ডস করাত ও ব্লেড জব্দ করা হয়। আজ সোমবার দুপুর ১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, সিটিটিসি গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন ও মো. নাঈম হোসেনকে পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ সংগঠনে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় সিটিটিসি। পরে সিটিটিসির একটি দল কবির আহাম্মদকে বান্দরবান জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থানাধীন বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারূদ জব্দ করা হয়। সিটিটিসি প্রধান বলেন, কবীর আহাম্মদ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করেছিল এবং জব্দ করা অস্ত্রের কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অস্ত্র মামলার তথ্য পাওয়া যায়। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার মাষ্টার মাইন্ড পলাতক আসামি শামিন মাহফুজ দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধাপে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদিকে গ্রেপ্তার কবির আহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আরও ২ সক্রিয় সদস্য মো. ইয়াসিন (৪০) ও আবদুর রহমান ইমরানকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উভয়েই পলাতক আসামি শামিন মাহফুজের ঘনিষ্ট সহযোগী। আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার আবদুর রহমান ইমরানের মাধ্যমে শামিন মাহফুজ বিভিন্ন সময় তার সাংগঠনিক আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতেন। মো. ইয়াসিন বিভিন্ন সময় শামিন মাহফুজের জন্য সেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনাসহ সংগঠনের উগ্রবাদী আদর্শে দীক্ষিত হয়ে হিজরতে গমনকারীদের জন্য ব্যবহৃত সেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১টি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখায়ব পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা: ফারুকী

টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই হয়ে যান জঙ্গি

আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করতেন কবীর আহাম্মদ। টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই হয়ে যান জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হাতে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। কবীর আহাম্মদসহ এ সংগঠনের মোট ৩ সদস্য গ্রেপ্তার হয়। গত রোববার বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মো. কবীর আহাম্মদসহ (৫০) গ্রেপ্তাররা হলেন মো. ইয়াসিন (৪০) ও আবদুর রহমান ইমরান (২৬)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি, ২ লিটার অ্যাসিড, গান পাউডার, লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচবক্স, একটি কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ২ বোতল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, ২টি স্প্রে ক্যান, ১টি লোহার করাত, স্কচ টেপ ও সুপার গ্লু, ট্রেনিংয়ের পোষাক ও টুপি এবং হ্যান্ডস করাত ও ব্লেড জব্দ করা হয়। আজ সোমবার দুপুর ১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, সিটিটিসি গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন ও মো. নাঈম হোসেনকে পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ সংগঠনে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় সিটিটিসি। পরে সিটিটিসির একটি দল কবির আহাম্মদকে বান্দরবান জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থানাধীন বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারূদ জব্দ করা হয়। সিটিটিসি প্রধান বলেন, কবীর আহাম্মদ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করেছিল এবং জব্দ করা অস্ত্রের কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অস্ত্র মামলার তথ্য পাওয়া যায়। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার মাষ্টার মাইন্ড পলাতক আসামি শামিন মাহফুজ দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধাপে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদিকে গ্রেপ্তার কবির আহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আরও ২ সক্রিয় সদস্য মো. ইয়াসিন (৪০) ও আবদুর রহমান ইমরানকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উভয়েই পলাতক আসামি শামিন মাহফুজের ঘনিষ্ট সহযোগী। আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার আবদুর রহমান ইমরানের মাধ্যমে শামিন মাহফুজ বিভিন্ন সময় তার সাংগঠনিক আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতেন। মো. ইয়াসিন বিভিন্ন সময় শামিন মাহফুজের জন্য সেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনাসহ সংগঠনের উগ্রবাদী আদর্শে দীক্ষিত হয়ে হিজরতে গমনকারীদের জন্য ব্যবহৃত সেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১টি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।