ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

স্বাধীন-দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিটের উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুণর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রীপর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’। এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ভেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো ও ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা। হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বাড়ায় উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এ কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা ও কয়েক ডজন টেলিভিশন এবং রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে। এ গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বাড়ানো ও অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ ও এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ড. হাছান মাহমুদ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীন-দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিটের উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুণর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রীপর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’। এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ভেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো ও ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা। হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বাড়ায় উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এ কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা ও কয়েক ডজন টেলিভিশন এবং রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে। এ গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বাড়ানো ও অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ ও এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ড. হাছান মাহমুদ।