ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

আইনের ভেতর থেকে সব করব: গণপূর্তমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক। আমি আইনের ভেতর থেকে যা যা করা দরকার সব করব। আপনি দেখেন, দেখতে থাকেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আস্থা রেখে একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, এই দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি, সেটা অবশ্যই আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি বারবার অপতথ্যের শিকার হই, সেটা যাতে না হয় সেই বিষয়ে বিনীত অনুরোধ রাখবো। আমি নাসিরনগর ও হেফাজতে ইসলাম নিয়ে অপতথ্যের শিকার হয়েছি। আমি যদি অপরাধমূলক কাজ করি, নিশ্চয়ই আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা না। আমার পেরিফেরিতে যদি অন্য কেউ অপরাধমূলক কাজ করে, আপনারা যদি তুলে ধরেন, আমার জন্য সুবিধা হবে। আমি সেসব বিষয় সংশোধনের চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আপনার মন্ত্রণালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী- এ বিষয়ে নতুন মন্ত্রী বলেন, আমার পরিকল্পনা খুব সিম্পল। দক্ষতা, যোগ্যতার এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ, এটাই আমার পরিকল্পনা। সাংবাদিকরা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরলে সেগুলো দূর করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক আমি আইনের ভেতর থেকে যা যা করা দরকার সব করব। আপনি দেখেন, দেখতে থাকেন। হিন্দিতে বলে- দেখতে যাইয়ে। দেখতে থাকেন, আমি কতটা আইন মানি কি, মানি না। আপনার মন্ত্রণালয়ের কোন কোন জায়গায় আলো ফেলতে চান- এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে হাত দেওয়া দরকার, সব জায়গায় আমি হাত দেওয়ার চেষ্টা করব আমার সাধ্য অনুযায়ী। বিভিন্ন সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাই না করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আপনার অবস্থান কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, কাজে লাগে না, এমন কাজ যদি করে থাকে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। সেগুলো যাতে কাজে লাগানো যায় সেই চেষ্টা করব। একটি নিউজ এসেছে প্লট-ফ্ল্যাট ভাগাভাগিতে সচিব ও চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, মাত্র তো খবর হয়েছে। খবরটা আমি পড়ে, অনুসন্ধান করে দেখি, এর সত্যতা আছে কিনা। সত্যতা থাকলে এর যাতে প্রতিকার হয়, সেটার চেষ্টা করব। রাজউকে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে আমরা নজর দেব। সেই বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকেন। ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করব। পরিবেশের দূষণ হয়, এমন কাজের সঙ্গে আমার মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে চাই না। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগে অনিয়মসহ সেখানকার নানা অসংগতিগুলো খতিয়ে দেখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে, প্রয়োজনবোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি অনিয়মগুলো দূর করা সম্ভব হয়, সেটা আমরা করব। গ্রাম ধ্বংস করে নগরায়ণ করা হলে, সেটি কতটা চ্যালেঞ্জ হবে আপনার জন্য- এ বিষয়ে তিনি বলেন, অচিরেই স্থানীয় সরকার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে আমরা বসবো। আগামী বা পরের সপ্তাহে আমরা একটা সভা করব। গ্রামে এখন অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি করার নিয়ম নেই। এই আইনের যাতে প্রয়োজনীয় বিধান করা হয়, সেটা আমরা দেখব। প্রতি বছর আমরা এক শতাংশ হেক্টর কৃষি জমি হারাই। এটা আমাদের জন্য হেলদি কোনো সিচুয়েশন না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ অথবা গ্রামীণ আবাসন- দুটিই বন্ধ করতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনের ভেতর থেকে সব করব: গণপূর্তমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক। আমি আইনের ভেতর থেকে যা যা করা দরকার সব করব। আপনি দেখেন, দেখতে থাকেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আস্থা রেখে একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, এই দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি, সেটা অবশ্যই আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি বারবার অপতথ্যের শিকার হই, সেটা যাতে না হয় সেই বিষয়ে বিনীত অনুরোধ রাখবো। আমি নাসিরনগর ও হেফাজতে ইসলাম নিয়ে অপতথ্যের শিকার হয়েছি। আমি যদি অপরাধমূলক কাজ করি, নিশ্চয়ই আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা না। আমার পেরিফেরিতে যদি অন্য কেউ অপরাধমূলক কাজ করে, আপনারা যদি তুলে ধরেন, আমার জন্য সুবিধা হবে। আমি সেসব বিষয় সংশোধনের চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আপনার মন্ত্রণালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী- এ বিষয়ে নতুন মন্ত্রী বলেন, আমার পরিকল্পনা খুব সিম্পল। দক্ষতা, যোগ্যতার এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ, এটাই আমার পরিকল্পনা। সাংবাদিকরা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরলে সেগুলো দূর করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক আমি আইনের ভেতর থেকে যা যা করা দরকার সব করব। আপনি দেখেন, দেখতে থাকেন। হিন্দিতে বলে- দেখতে যাইয়ে। দেখতে থাকেন, আমি কতটা আইন মানি কি, মানি না। আপনার মন্ত্রণালয়ের কোন কোন জায়গায় আলো ফেলতে চান- এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে হাত দেওয়া দরকার, সব জায়গায় আমি হাত দেওয়ার চেষ্টা করব আমার সাধ্য অনুযায়ী। বিভিন্ন সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাই না করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আপনার অবস্থান কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, কাজে লাগে না, এমন কাজ যদি করে থাকে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। সেগুলো যাতে কাজে লাগানো যায় সেই চেষ্টা করব। একটি নিউজ এসেছে প্লট-ফ্ল্যাট ভাগাভাগিতে সচিব ও চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, মাত্র তো খবর হয়েছে। খবরটা আমি পড়ে, অনুসন্ধান করে দেখি, এর সত্যতা আছে কিনা। সত্যতা থাকলে এর যাতে প্রতিকার হয়, সেটার চেষ্টা করব। রাজউকে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে আমরা নজর দেব। সেই বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকেন। ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করব। পরিবেশের দূষণ হয়, এমন কাজের সঙ্গে আমার মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে চাই না। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগে অনিয়মসহ সেখানকার নানা অসংগতিগুলো খতিয়ে দেখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে, প্রয়োজনবোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি অনিয়মগুলো দূর করা সম্ভব হয়, সেটা আমরা করব। গ্রাম ধ্বংস করে নগরায়ণ করা হলে, সেটি কতটা চ্যালেঞ্জ হবে আপনার জন্য- এ বিষয়ে তিনি বলেন, অচিরেই স্থানীয় সরকার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে আমরা বসবো। আগামী বা পরের সপ্তাহে আমরা একটা সভা করব। গ্রামে এখন অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি করার নিয়ম নেই। এই আইনের যাতে প্রয়োজনীয় বিধান করা হয়, সেটা আমরা দেখব। প্রতি বছর আমরা এক শতাংশ হেক্টর কৃষি জমি হারাই। এটা আমাদের জন্য হেলদি কোনো সিচুয়েশন না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ অথবা গ্রামীণ আবাসন- দুটিই বন্ধ করতে হবে।