ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে কিছু সমঝতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অপপ্রচার হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মিথ্যাচার করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গত রোববার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলোকে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, ক্ষেত্র বিশেষ কিছুকিছু মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্য চলে এসেছে। আমরা দেখেছি বিএনপি এবং জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল (রোবাবর) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যুক্ত হয়েছেন সেই অপপ্রচারে। গতকাল (রোবাবর) তিনি একটি প্রেস কনফারেন্সে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো একেবারেই অসত্য এবং ডাহা মিথ্যা কথা। সমঝোতা স্মারকের সবগুলো ধারা উনি হয়ত পড়েননি। বা যারা অপপ্রচার করেছে তারা পড়েননি। সকল ধারা না পড়ে খ-িতভাবে এগুলো তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতের ট্রেন চলবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন আমাদের দেশ নাকি নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই লাইনে ভারত নাকি এখানে দিয়ে আর্মস নিয়ে যাবে। কিন্তু সমঝোতা স্বারকে এমন কিছুই নেই। বরং আর্মসসহ এ জাতীয় কিছুই পরিবহণ করা যাবে না উল্লেখ আছে। এই সমঝোতা স্মারকের তিন নাম্বারে বলা আছে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে গুডস উইদাউট ‘রেড ট্রাফিক’। সেখানে সংজ্ঞা দেওয়া আছে ডেঞ্জারাস এবং অফেন্সিভ গুডস, ইনক্লুডিং আর্মস এ- এক্সক্লুসিভস। অর্থাৎ এগুলো নেওয়া যাবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত শুধু আমাদের ওপর নিয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে না বরং আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে ট্রেন নিয়ে নেপাল, ভূটান যাবো। এসব অর্জনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নেপাল এবং ভূটান থেকে বাংলাদেশের অথবা তাদের ট্রেন ভারতের মধ্যে থেকে বাংলাদেশে এসে মংলা পোর্ট এবং চিটাগং পোর্ট ব্যবহার করবে। তারা কিন্তু এখন কলকাতা পোর্ট ব্যবহার করে। অর্থাৎ আমাদের পোর্টগুলোকে লাভবান করব। তাহলে কি আপনারা বলবেন এটি ভারতের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হয়ে গেল। তারা তাদের কলকাতা পোর্টকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশের পোর্টকে লাভজনক করে দিচ্ছে আলী আরাফাত বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রিড লাইন, সেই গ্রিডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করব। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করব আমরা তখন রপ্তানিও করতে পারব। এখন কি বলবেন ভারতের বুক চীরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবে এবং বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে সমঝোতা স্মারকের এই বিষয়গুলো একেবারে উল্লেখ না করে তারা অপপ্রচারের স্বার্থে মিথ্যাচার করছে, তারা গোলামি চুক্তি ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে রিজিওনাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব কানেকটিভিটির মধ্যে আসছে। আমরা কিন্তু এটা এককভাবে ভারতকে দেইনি। সেটিকে তারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। এটা মূলত বিএনপির চিন্তা নতজানু।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৮:০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে কিছু সমঝতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অপপ্রচার হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মিথ্যাচার করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গত রোববার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলোকে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, ক্ষেত্র বিশেষ কিছুকিছু মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্য চলে এসেছে। আমরা দেখেছি বিএনপি এবং জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল (রোবাবর) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যুক্ত হয়েছেন সেই অপপ্রচারে। গতকাল (রোবাবর) তিনি একটি প্রেস কনফারেন্সে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো একেবারেই অসত্য এবং ডাহা মিথ্যা কথা। সমঝোতা স্মারকের সবগুলো ধারা উনি হয়ত পড়েননি। বা যারা অপপ্রচার করেছে তারা পড়েননি। সকল ধারা না পড়ে খ-িতভাবে এগুলো তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতের ট্রেন চলবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন আমাদের দেশ নাকি নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই লাইনে ভারত নাকি এখানে দিয়ে আর্মস নিয়ে যাবে। কিন্তু সমঝোতা স্বারকে এমন কিছুই নেই। বরং আর্মসসহ এ জাতীয় কিছুই পরিবহণ করা যাবে না উল্লেখ আছে। এই সমঝোতা স্মারকের তিন নাম্বারে বলা আছে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে গুডস উইদাউট ‘রেড ট্রাফিক’। সেখানে সংজ্ঞা দেওয়া আছে ডেঞ্জারাস এবং অফেন্সিভ গুডস, ইনক্লুডিং আর্মস এ- এক্সক্লুসিভস। অর্থাৎ এগুলো নেওয়া যাবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত শুধু আমাদের ওপর নিয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে না বরং আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে ট্রেন নিয়ে নেপাল, ভূটান যাবো। এসব অর্জনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নেপাল এবং ভূটান থেকে বাংলাদেশের অথবা তাদের ট্রেন ভারতের মধ্যে থেকে বাংলাদেশে এসে মংলা পোর্ট এবং চিটাগং পোর্ট ব্যবহার করবে। তারা কিন্তু এখন কলকাতা পোর্ট ব্যবহার করে। অর্থাৎ আমাদের পোর্টগুলোকে লাভবান করব। তাহলে কি আপনারা বলবেন এটি ভারতের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হয়ে গেল। তারা তাদের কলকাতা পোর্টকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশের পোর্টকে লাভজনক করে দিচ্ছে আলী আরাফাত বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রিড লাইন, সেই গ্রিডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করব। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করব আমরা তখন রপ্তানিও করতে পারব। এখন কি বলবেন ভারতের বুক চীরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবে এবং বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে সমঝোতা স্মারকের এই বিষয়গুলো একেবারে উল্লেখ না করে তারা অপপ্রচারের স্বার্থে মিথ্যাচার করছে, তারা গোলামি চুক্তি ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে রিজিওনাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব কানেকটিভিটির মধ্যে আসছে। আমরা কিন্তু এটা এককভাবে ভারতকে দেইনি। সেটিকে তারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। এটা মূলত বিএনপির চিন্তা নতজানু।