প্রেমের টানে রাজবাড়ীতে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

- আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
এক বছর আগে চীনের সোশ্যাল মিডিয়া লিটল রেড বুকের মাধ্যমে ঝং কেজুন (৪৬) নামে এক চীনা নাগরিকের সঙ্গে পরিচয় হয় রাজবাড়ীর তরুণী রুমা খাতুনের (২১)। আর এই পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের টানেই চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন ঝং কেজুন।
ভাষা, সংস্কৃতি ও হাজার মাইলের দূরত্বকে হার মানিয়ে ভালোবাসার টানে রাজবাড়ীতে এসে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন চীনের নাগরিক ঝং কেজুন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন ওই বাড়িতে।
চীনা যুবক ঝং কেজুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া তরুণী মোছা. রুমা খাতুন রাজবাড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর ড্রাই আইস ফ্যাক্টরি এলাকার অটোচালক মো. বাবু খানের মেয়ে। আর চীনা যুবক ঝং কেজুন চীনের গুয়াংসি লিউঝো শহরের বাসিন্দা এবং পেশায় চাকরিজীবী। গত ২রা সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর আদালতে মুসলিম রীতিনীতি মেনে ঝং কেজুনের সঙ্গে রুমার বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
গত ২রা সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে রুমা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। পরে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা মোহরানা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে নবদম্পতি রুমার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
কনে রুমা খাতুন বলেন, ‘আমি এসএসসি পাশের পর আর পড়ালেখা করিনি। এক বছর আগে চীনের সোশ্যাল মিডিয়া লিটল রেড বুকে ঝং কেজুনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে আমরা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। ঝং কেজুন প্রথমে বাংলাদেশে এসে আমার বাড়িতে আসে। কিন্তু পরিবার রাজি না থাকায় সে ফরিদপুরে চলে যায়। পরে পরিবারের সম্মত হলে ২রা সেপ্টেম্বর কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করি। এখন আমরা সংসার করছি। সে আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।’
রুমার বাবা অটোচালক বাবু খান বলেন, প্রথমে আমি এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না। পরে জামাই ও পরিবারের লোকদের ওপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিই। মেয়ে রাজি থাকায় বিয়ে হয়েছে। এখন জামাই আমার বাড়িতে আছে। সে জানিয়েছে, আমার মেয়েকে চীনে নিয়ে যাবে।
রুমার পরিবারের সদস্যরা জানান, বাঙালি খাবার আর সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছেন ঝং কেজুন। স্ত্রী রুমার সঙ্গে প্রতিদিন গ্রামের পথঘাট ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। এলাকাবাসীও ঝং কেজুনকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ঝং কেজুনের সঙ্গে কথা বলছেন। কেউ গুগলে অনুবাদ করে চীনা বা ইংরেজি ভাষায় কথা বলছেন। কেজুন তাদের কথার উত্তর দিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, চীনের এক যুবক এসে বিয়ে করে সংসার করছে; এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই বহু মানুষ কৌতূহলবশত তাদের দেখতে আসছেন।