ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর শিগগিরই দেশে ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডে অবস্থিত ১৯৬ নম্বর বাড়িটি তার জন্য বসবাসযোগ্য করে সাজানো হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, তিনি সহসাই দেশে ফিরবেন।

গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানও জানিয়েছিলেন, “খুব দ্রুতই দেশে আসার পরিকল্পনা রয়েছে, ইনশাআল্লাহ।”

বর্তমানে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তার দেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তার ফেরার সময় তফসিল ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবরও দেশের একটি দৈনিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের পর তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।”

বাড়িটি দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ডুপ্লেক্স। এটি তিন বেডরুম, ড্রয়িং, ডাইনিং ও লিভিং রুম, সুইমিংপুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। দীর্ঘদিন খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকা এই বাড়ি সম্প্রতি তারেক রহমানের নামে নামজারি করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, ভেতর-বাইরের সংস্কারকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তারেক দেশে ফিরে এখানে বসবাস করবেন।

গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি পূর্বে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর সিওর ভাড়া ছিল। ছয় মাস আগে কোম্পানি চলে যাওয়ার পর এটি তারেক রহমানের থাকার উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়। সম্প্রতি তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডন থেকে দেশে এসে বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ২০০৯ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ২০১৮ সালে তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারেক রহমান ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের সভা ও সমাবেশ পরিচালনা করছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে পাঁচটি ভিন্ন মামলা ছিল এবং প্রায় ১০০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার বদলের পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো চলমান মামলা নেই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি

আপডেট সময়ঃ ০৩:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর শিগগিরই দেশে ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডে অবস্থিত ১৯৬ নম্বর বাড়িটি তার জন্য বসবাসযোগ্য করে সাজানো হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, তিনি সহসাই দেশে ফিরবেন।

গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানও জানিয়েছিলেন, “খুব দ্রুতই দেশে আসার পরিকল্পনা রয়েছে, ইনশাআল্লাহ।”

বর্তমানে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তার দেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তার ফেরার সময় তফসিল ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবরও দেশের একটি দৈনিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের পর তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।”

বাড়িটি দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ডুপ্লেক্স। এটি তিন বেডরুম, ড্রয়িং, ডাইনিং ও লিভিং রুম, সুইমিংপুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। দীর্ঘদিন খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকা এই বাড়ি সম্প্রতি তারেক রহমানের নামে নামজারি করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, ভেতর-বাইরের সংস্কারকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তারেক দেশে ফিরে এখানে বসবাস করবেন।

গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি পূর্বে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর সিওর ভাড়া ছিল। ছয় মাস আগে কোম্পানি চলে যাওয়ার পর এটি তারেক রহমানের থাকার উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়। সম্প্রতি তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডন থেকে দেশে এসে বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ২০০৯ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ২০১৮ সালে তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারেক রহমান ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের সভা ও সমাবেশ পরিচালনা করছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে পাঁচটি ভিন্ন মামলা ছিল এবং প্রায় ১০০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার বদলের পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো চলমান মামলা নেই।