ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

পানিতে চুবিয়ে ৮ কুকুরছানা হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৬৬ বার পড়া হয়েছে

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে আটটি কুকুরছানা নির্মমভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে আটক করা হয়।

ঘটনার পরের রাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯–এর ৭ ধারায় মামলা করেন। মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশিকে একমাত্র আসামি করা হয়।

ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ বলে উল্লেখ করে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। এরপর ঢাকার এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি দল ঈশ্বরদীতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা তারা ইতোমধ্যে পালন করেছে। প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নিশি খোদ নিজের হাতে কুকুরছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে দেন। পরে বস্তাবন্দী অবস্থায় আটটি মৃত ছানা উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি প্রাণী কল্যাণ আইন প্রয়োগ ও পশুর প্রতি নৃশংস আচরণ প্রতিরোধে নতুন করে জনআলোচনা সৃষ্টি করেছে। তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পানিতে চুবিয়ে ৮ কুকুরছানা হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার

আপডেট সময়ঃ ০৪:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে আটটি কুকুরছানা নির্মমভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে আটক করা হয়।

ঘটনার পরের রাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯–এর ৭ ধারায় মামলা করেন। মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশিকে একমাত্র আসামি করা হয়।

ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ বলে উল্লেখ করে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। এরপর ঢাকার এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি দল ঈশ্বরদীতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা তারা ইতোমধ্যে পালন করেছে। প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নিশি খোদ নিজের হাতে কুকুরছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে দেন। পরে বস্তাবন্দী অবস্থায় আটটি মৃত ছানা উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি প্রাণী কল্যাণ আইন প্রয়োগ ও পশুর প্রতি নৃশংস আচরণ প্রতিরোধে নতুন করে জনআলোচনা সৃষ্টি করেছে। তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে।