ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

লাইভে এসে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা: ২ শতাধিক লিংক সরিয়েছে বিটিআরসি

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লাইভে এসে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ১৯০টি, ইউটিউব থেকে ৬টি, লাইকি থেকে ৩টি ও টিকটক থেকে ৩টি লিংক অপসারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বুধবার পর্যন্ত বিটিআরসি এসব লিঙ্ক (ব্লক) অপসারণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব। ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, লাইভে এসে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের ২২৭টি ভিডিও লিংক ফেসবুক, ইউটিউব, লাইকি ও টিকটটে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ২০২টি লিংক অপসারণ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন পত্রিকা, ফেসবুক, ইউটিউব, লাইকি ও টিকটট থেকে ব্যক্তিগত ও বিভ্ন্নি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আত্মহত্যার ২৫০টি লিংক সরানো হয়েছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিটিআরসির দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য ছিল। পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত দুই সপ্তাহ পর সময় নির্ধারণ করেছেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পরদিন হাইকোর্টের নজরে এনে ভিডিওটি অপসারণের নির্দেশনা চান। রিটকারী আইনজীবী আদালতকে বলেন, এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকলে সমাজে এর ইফেক্ট (প্রভাব) পড়বে। এরপর হাইকোর্টের একটি ভার্চুয়াল দ্বৈত বেঞ্চ ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিওর লিঙ্ক অপসারণ ও রুলসহ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমে ওই ভিডিও প্রচারে ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। মহসিন খানের একমাত্র ছেলে দেশের বাইরে এবং মেয়ে মডেল মুশফিকার স্বামী চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের (৫৮) ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও তার অ্যাকাউন্টসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ওই ভিডিও সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ভিডিওটি যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ও অন্য সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অতি জরুরি হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে পদক্ষেপ জানিয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে। আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিটিআরসির পক্ষে খন্দকার রেজা-ই রাকিব শুনানিতে ছিলেন। এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তিনি বলেন, ওই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যে কারণে ভিডিও অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন। আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলেন, এরপর ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিও অপসারণ করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ওই ভিডিও অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মহসিন খান। এ ঘটনার ভিডিও দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবু মহসিন খান চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ও মডেল মুশফিকা তিনার বাবা। মহসিন খানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ওসি)ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। রাত ৯টার দিকে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি। ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যা করার আগে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আবু মহসিন খান। এ সময় তিনি জীবনের নানা হতাশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন। এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানিয়েছেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এ ছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল, ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক’। সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে। এ আত্মহত্যার ঘটনায় মহসিন খানের পরিবারের এক সদস্য গতকাল বুধবার রাতেই ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যু মামলার করেছেন। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে তখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ছিল লাশ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাইভে এসে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা: ২ শতাধিক লিংক সরিয়েছে বিটিআরসি

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লাইভে এসে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ১৯০টি, ইউটিউব থেকে ৬টি, লাইকি থেকে ৩টি ও টিকটক থেকে ৩টি লিংক অপসারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বুধবার পর্যন্ত বিটিআরসি এসব লিঙ্ক (ব্লক) অপসারণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব। ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, লাইভে এসে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের ২২৭টি ভিডিও লিংক ফেসবুক, ইউটিউব, লাইকি ও টিকটটে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ২০২টি লিংক অপসারণ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন পত্রিকা, ফেসবুক, ইউটিউব, লাইকি ও টিকটট থেকে ব্যক্তিগত ও বিভ্ন্নি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আত্মহত্যার ২৫০টি লিংক সরানো হয়েছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিটিআরসির দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য ছিল। পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত দুই সপ্তাহ পর সময় নির্ধারণ করেছেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পরদিন হাইকোর্টের নজরে এনে ভিডিওটি অপসারণের নির্দেশনা চান। রিটকারী আইনজীবী আদালতকে বলেন, এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকলে সমাজে এর ইফেক্ট (প্রভাব) পড়বে। এরপর হাইকোর্টের একটি ভার্চুয়াল দ্বৈত বেঞ্চ ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিওর লিঙ্ক অপসারণ ও রুলসহ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমে ওই ভিডিও প্রচারে ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। মহসিন খানের একমাত্র ছেলে দেশের বাইরে এবং মেয়ে মডেল মুশফিকার স্বামী চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের (৫৮) ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও তার অ্যাকাউন্টসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ওই ভিডিও সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ভিডিওটি যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ও অন্য সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অতি জরুরি হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে পদক্ষেপ জানিয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে। আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিটিআরসির পক্ষে খন্দকার রেজা-ই রাকিব শুনানিতে ছিলেন। এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তিনি বলেন, ওই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যে কারণে ভিডিও অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন। আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলেন, এরপর ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিও অপসারণ করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ওই ভিডিও অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মহসিন খান। এ ঘটনার ভিডিও দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবু মহসিন খান চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ও মডেল মুশফিকা তিনার বাবা। মহসিন খানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ওসি)ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। রাত ৯টার দিকে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি। ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যা করার আগে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আবু মহসিন খান। এ সময় তিনি জীবনের নানা হতাশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন। এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানিয়েছেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এ ছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল, ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক’। সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে। এ আত্মহত্যার ঘটনায় মহসিন খানের পরিবারের এক সদস্য গতকাল বুধবার রাতেই ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যু মামলার করেছেন। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে তখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ছিল লাশ।