• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
নারী-শিশু মামলায় বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে জনগণ: নয় বছরে ৫০৭ জনকে পিটিয়ে হত্যা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বস্তিবাসী-রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ৬ষ্ঠ উপজেলায় নির্বাচন জয় হয়েছে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ শুল্ক জটিলতায় বন্দরে আটকা ২০ অ্যাম্বুলেন্স, ক্ষুব্ধ আমদানিকারকরা চত্রনায়ক সোহেল হত্যায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন হজযাত্রীদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে: ধর্মমন্ত্রী এরশাদের ট্রাস্টের গাড়ি আত্মসাৎ, ফেরত পেতে আদালতের দ্বারস্থ বিদিশা

পাকিস্তানেও মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

Reporter Name / ২২ Time View
Update : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মাতৃভাষার জন্য পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্র এত আন্দোলন করে নাই, রক্ত দেয় নাই। সেই জন্য ১৯৯৬ সালে সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরতœ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ‘তাঁর প্রচেষ্টায় ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলো পাকিস্তানিরা। যে পাকিস্তানীরা আমাদের গুলি করে হত্যা করেছিল, সেই পাকিস্তানেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়’। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছয় দফা আন্দোলনের সূচনা চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে জানিয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের স্বাধীনতায় চট্টগ্রামের ভূমিকা রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম প্রচার হয় এই চট্টগ্রামের বেতার থেকে। ছয় দফা আন্দোলনের সূচনা হয়েছে এই চট্টগ্রাম থেকে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনেও চট্টগ্রামের অবদান অনেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন ৫৬ ভাগ মানুষের ভাষাকে তারা (পাকিস্তান) স্বীকৃতি দিতে চায়নি, তখনই বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন এদেশে পাকিস্তানি শোষণ চলবে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবে, তিনি ১৯৪৮ সালেই ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৬’র ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এ সময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি এস এম আল মামুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম সরোয়ার কামাল, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নগরের উত্তর কাট্টলীতে ৪৫ শতক জায়গার ওপর প্রস্তাবিত নতুন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের জায়গায় অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে প্রথমবারের মতো বীর শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে সেখানে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category