০৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

ইসি পুনর্গঠনের আগে প্রয়োজন আইন প্রণয়ন: ন্যাপ

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করতে সুনির্দিষ্ট আইন থাকা জরুরি। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের যে ব্যবস্থা বর্তমান ইসি ও তার আগের ইসি নিয়োগের সময় নেওয়া হয়েছে, তা ইসি নিয়োগে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কারণ সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন, রাষ্ট্রপতি তাই অনুমোদন করবেন। সার্চ কমিটি যে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, তা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এসব পদে নিয়োগদানে কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। তারা আরও বলেন, বিতর্কহীন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে এ মুহূর্তে প্রয়োজন ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়ন। সব রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নে সম্মিলিতভাবে জোর দাবি উত্থাপন করা। শাসক দল আওয়ামী লীগও আইনটি প্রণয়নে এগিয়ে আসবে। এতে তাদের দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য নিধন প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান

ইসি পুনর্গঠনের আগে প্রয়োজন আইন প্রণয়ন: ন্যাপ

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করতে সুনির্দিষ্ট আইন থাকা জরুরি। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের যে ব্যবস্থা বর্তমান ইসি ও তার আগের ইসি নিয়োগের সময় নেওয়া হয়েছে, তা ইসি নিয়োগে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কারণ সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন, রাষ্ট্রপতি তাই অনুমোদন করবেন। সার্চ কমিটি যে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, তা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এসব পদে নিয়োগদানে কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। তারা আরও বলেন, বিতর্কহীন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে এ মুহূর্তে প্রয়োজন ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়ন। সব রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নে সম্মিলিতভাবে জোর দাবি উত্থাপন করা। শাসক দল আওয়ামী লীগও আইনটি প্রণয়নে এগিয়ে আসবে। এতে তাদের দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।