ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

চাকরির আশ্বাসে ঘুষ: ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার ৫ বছরের জেল

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারের পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। কারাদ-ের পাশাপাশি আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। অপরদিকে ঘুষ দাতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত। এদিন রায় ঘোষণার সময় আনোয়ার হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মোহাম্মদ আক্কাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি কৃতকার্য হন। চাকরি পাওয়ার আশায় জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে পি এ টু পরিচালক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওমর আলী জাহাঙ্গীর আলমের মামাতো ভাই। ওমর আলী এই বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন আনোয়ার হোসেন বখতিয়ার জানান, সাত লাখ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। কথা মোতাবেক জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে সাত লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম আনোয়ার হোসেনকে টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেন। দীর্ঘ দিন ঘোরানোর পর ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা রাজশাহীতে ওমর আলীর মাধ্যমে এক লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৬ লাখ টাকা আনোয়ার হোসেন ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর নগদ পরিশোধ করার বিষয়টি আসামিরা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন দুই জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুই জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চাকরির আশ্বাসে ঘুষ: ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার ৫ বছরের জেল

আপডেট সময়ঃ ০৮:০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারের পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। কারাদ-ের পাশাপাশি আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। অপরদিকে ঘুষ দাতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত। এদিন রায় ঘোষণার সময় আনোয়ার হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মোহাম্মদ আক্কাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি কৃতকার্য হন। চাকরি পাওয়ার আশায় জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে পি এ টু পরিচালক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওমর আলী জাহাঙ্গীর আলমের মামাতো ভাই। ওমর আলী এই বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন আনোয়ার হোসেন বখতিয়ার জানান, সাত লাখ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। কথা মোতাবেক জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে সাত লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম আনোয়ার হোসেনকে টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেন। দীর্ঘ দিন ঘোরানোর পর ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা রাজশাহীতে ওমর আলীর মাধ্যমে এক লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৬ লাখ টাকা আনোয়ার হোসেন ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর নগদ পরিশোধ করার বিষয়টি আসামিরা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন দুই জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুই জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন।