২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:২২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
- / ১২৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার মাধ্যমে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন ফসলের জলবায়ু সহনশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির সম্প্রসারণ ও পরিবেশ বান্ধব কৃষি উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গবেষণায়ও গুরুত্ব দিতে হবে। আজ সোমবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানির বাজার অনুসন্ধান করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদনের সময় গ্যাপ নীতমালা অনুসরণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কৃষির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ দানা শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমাদের পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে বিশেষ মনযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাজারদর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, খাদ্যের সুষম বণ্টনসহ সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা যেমন জরুরি তেমনি সকলের পুষ্টি সচেতনতার বিষয়টিও অত্যাবশ্যকীয়। কৃষিক্ষেত্রে টেকসই কর্ম-পদ্ধতির বিকাশ সাধন করে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে। মন্ত্রী এ সময় সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রেশন এর নির্বাহী পরিচালক ড. লরেন্স হাদ্দাদ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি সাসো মার্টিনো, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজির প্রমুখ।